সূরা ওয়াকিয়ার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস
অনেক মানুষ দারিদ্রতার সাথে জীবনযাপন করছেন। আল্লাহ তা’আলা এই দারিদ্রতা দূর করার জন্য কুরআনে একটি সূরা নাযিল করেছেন। যে সূরা পাঠ করার মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা দারিদ্রতা দূর করে দেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না কোন সূরা পাঠ করলে দারিদ্রতা দূর হয়। তাই আমাদের আজকের এই পোস্টের আলোচ্য বিষয় হলো সূরা ওয়াকিয়ার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস।
সূরা ওয়াকিয়া কখন পড়তে হয়
সূরা ওয়াকিয়া কখন পড়তে হয় সে সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। সূরা ওয়াকিয়া যেকোনো সময় পাঠ করা যায়। তবে সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করার উত্তম সময় হলো মাগরিবের নামাজের পর। কারণ মাগরিবের নামাজের পর সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করলে দারিদ্রতা দূর হয়।
সূরা ওয়াকিয়া পড়ার নিয়ম
সূরা ওয়াকিয়া পড়ার নিয়ম হল মাগরিবের নামাজের পরে সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করা। প্রতিদিন সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করলে পরিবারে দারিদ্রতা কখনো স্পর্শ করতে পারেনা এবং অভাব দূর হয়ে যায়।
সূরা ওয়াকিয়া কত আয়াত
সূরা ওয়াকিয়া মক্কায় নাযিল হয়েছিল। তাই সূরা ওয়াকিয়া একটি মাক্কি সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ৯৬ টি এবং কুরআনের ৫৬ তম সূরা। ওয়াকিয়া অর্থ হল মহা ঘটনা। আর এই সূরা ওয়াকিয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা তার অসীম ক্ষমতা কেয়ামতের ভয়াবহতা, জান্নাত ও জাহান্নাম, শেষ বিচার, বজ্রপাত, ভূমিকম্প ইত্যাদির বর্ণনা করা হয়েছে।
সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ
আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে এমন একটি সূরা নাযিল করেছেন যে সূরার মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলার ক্ষমতা, কেয়ামত, জান্নাত, জাহান্নাম শেষ বিচার, ভূমিকম্প, বজ্রপাত ইত্যাদি সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই সূরা হলো সূরা ওয়াকিয়া। এছাড়া এই সূরা পড়লে আল্লাহ তা'আলা দারিদ্রতা দূর করে দেন। নিচে সূরাটির বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ দেওয়া হলোঃ
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
বাংলা উচ্চারণঃ”বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম”
অর্থঃ “পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।”
১ .إِذَا وَقَعَتِ الْوَاقِعَةُ
বাংলা উচ্চারণঃ “ইযা-অক্বা‘আতিল ওয়া-ক্বি‘আতু।”
অর্থঃ ”যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে।”
২.لَيْسَ لِوَقْعَتِهَا كَاذِبَةٌ
বাংলা উচ্চারণঃ “লাইসা লিঅক‘আতিহা-কা-যিবাহ।”
অর্থঃ ”তার সংঘটনের কোনই অস্বীকারকারী থাকবে না।”
৩.خَافِضَةٌ رَافِعَةٌ
বাংলা উচ্চারণঃ “খ-ফি দ্বোয়ার্তু র-ফি‘আহ।”
অর্থঃ ”তা কাউকে ভূলুণ্ঠিত করবে এবং কাউকে করবে সমুন্নত।”
৪.إِذَا رُجَّتِ الْأَرْضُ رَجًّا
বাংলা উচ্চারণঃ “ইযা- রুজ্জ্বাতিল র্আদু রজ্জ্বান।”
অর্থঃ ”যখন যমীন প্রকম্পিত হবে প্রবল প্রকম্পনে।”
৫.وَبُسَّتِ الْجِبَالُ بَسًّا
বাংলা উচ্চারণঃ “অবুসসাতিল জ্বিবা-লু বাসসা-।”
অর্থঃ ”আর পর্বতমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়বে।”
৬.فَكَانَتْ هَبَاءً مُنْبَثًّا
বাংলা উচ্চারণঃ “ফাকা-নাত হাবা-য়াম মুম্বাছ্ছাঁও।”
অর্থঃ ”অতঃপর তা বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত হবে।”
৭.وَكُنْتُمْ أَزْوَاجًا ثَلَاثَةً
বাংলা উচ্চারণঃ “ অকুন্তুম আযওয়া-জ্বান ছালা-ছাহ।”
অর্থঃ ”আর তোমরা বিভক্ত হয়ে পড়বে তিন দলে।”
৮.فَأَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ
বাংলা উচ্চারণঃ “ ফাআছহা-বুল মাইমানাতি মা য় আছহা-বুল মাইমানাহ”
অর্থঃ ”তরাং ডান পার্শ্বের দল, ডান পার্শ্বের দলটি কত সৌভাগ্যবান!”
৯.وَأَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ
বাংলা উচ্চারণঃ “ অআছহা-বুল মাশয়া মাতি মা য় আছহা-বুল মাশয়ামাহ।”
অর্থঃ ”আর বাম পার্শ্বের দল, বাম পার্শ্বের দলটি কত হতভাগ্য!”
১০.وَالسَّابِقُونَ السَّابِقُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ “অসসা-বিকু নাস সা-বিকুন।”
অর্থঃ ”আর অগ্রগামীরাই অগ্রগামী।”
১১.أُولَئِكَ الْمُقَرَّبُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ “উলা-য়িকাল মুর্ক্বরাবূন।”
অর্থঃ ”তারাই সান্নিধপ্রাপ্ত।”
১২.فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ
বাংলা উচ্চারণঃ “ফী জ্বান্না-তিন না‘ঈম।”
অর্থঃ ”তারা থাকবে নিয়ামতপুর্ণ জান্নাতসমূহে ।”
১৩.ثُلَّةٌ مِنَ الْأَوَّلِينَ
বাংলা উচ্চারণঃ “ছুল্লাতুম্ মিনাল আউয়্যালীন।”
অর্থঃ ”বহুসংখ্যক হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে, ”
১৪..وَقَلِيلٌ مِنَ الْآخِرِينَ
বাংলা উচ্চারণঃ“অক্বালীলুম মিনাল আ-খিরীন।”
অর্থঃ”আর অল্পসংখ্যক হবে পরবর্তীদের মধ্য থেকে।”
১৫.عَلَى سُرُرٍ مَوْضُونَةٍ
বাংলা উচ্চারণঃ“আলা- সুরুরিম মাওদবূনাতিম।”
অর্থঃ”স্বর্ণ ও দামী পাথরখচিত আসনে!”
১৬.مُتَّكِئِينَ عَلَيْهَا مُتَقَابِلِينَ
বাংলা উচ্চারণঃ“মুত্তাকিয়ীনা আলাইহা-মুতাক্ব-বিলীন।”
অর্থঃ” তারা সেখানে হেলান দিয়ে আসীন থাকবে মুখোমুখি অবস্থায়।”
১৭.يَطُوفُ عَلَيْهِمْ وِلْدَانٌ مُخَلَّدُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“ইয়াতুফু ‘আলাইহিম ওয়িলদা-নুম মুখাল্লাদূন।”
অর্থঃ” তাদের আশ-পাশে ঘোরাফেরা করবে চির কিশোররা,”
১৮.بِأَكْوَابٍ وَأَبَارِيقَ وَكَأْسٍ مِنْ مَعِينٍ
বাংলা উচ্চারণঃ“বিআকওয়া-বিঁও অআবা-রীক্বা অকাসিম মিম মা‘ঈনিল।”
অর্থঃ”পানপাত্র, জগ ও প্রবাহিত ঝর্ণার শরাবপুর্ণ পেয়ালা নিয়ে,”
১৯.لَا يُصَدَّعُونَ عَنْهَا وَلَا يُنْزِفُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“লা-ইয়ুছোয়াদ্দা‘ঊনা ‘আনহা-অলা- ইয়ুন্যিফূন।”
অর্থঃ”তা পানে না তাদের মাথা ব্যথা করবে, আর না তারা মাতাল হবে।”
২০.وَفَاكِهَةٍ مِمَّا يَتَخَيَّرُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“অফা-কিহাতিম মিম্মা-ইয়াতাখাইয়্যারূন।”
অর্থঃ”আর (ঘোরাফেরা করবে) তাদের পছন্দমত ফল নিয়ে।”
২১.وَلَحْمِ طَيْرٍ مِمَّا يَشْتَهُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“অলাহ্মি ত্বোয়াইরিম মিম্মা-ইয়াশ্তাহূন।”
অর্থঃ”আর পাখির গোশ্ত নিয়ে, যা তারা কামনা করবে।”
২২.وَحُورٌ عِينٌ
বাংলা উচ্চারণঃ“অহূরুন ‘ঈনুন।”
অর্থঃ” আর থাকবে ডাগরচোখা হূর,”
২৩.كَأَمْثَالِ اللُّؤْلُؤِ الْمَكْنُونِ
বাংলা উচ্চারণঃ“কাআমছা-লিল লুলুয়িল মাক্নূন ।”
অর্থঃ” যেন তারা সুরক্ষিত মুক্তা,”
২৪.جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“জ্বাযা-য়াম বিমা-কা-নূ ইয়া’মালূন।”
অর্থঃ” তারা যে আমল করত তার প্রতিদানস্বরূপ।”
২৫.لَا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا تَأْثِيمًا
বাংলা উচ্চারণঃ“লা-ইয়াস্মাঊ’না ফীহা-লাগওয়াঁও অলা-তাছীমান।”
অর্থঃ”তারা সেখানে শুনতে পাবে না কোন বেহুদা কথা, এবং না পাপের কথা,”
২৬.إِلَّا قِيلًا سَلَامًا سَلَامًا
বাংলা উচ্চারণঃ“ইল্লা-ক্বীলান সালা-মান সালা-মা-।”
অর্থঃ”শুধু এই বাণী ছাড়া, ‘সালাম, সালাম’”
২৭.وَأَصْحَابُ الْيَمِينِ مَا أَصْحَابُ الْيَمِينِ
বাংলা উচ্চারণঃ“অআছহা-বুল ইয়ামীনি মা আছহা-বুল ইয়ামীন।”
অর্থঃ”আর ডান দিকের দল; কত ভাগ্যবান ডান দিকের দল!”
২৮.فِي سِدْرٍ مَخْضُودٍ
বাংলা উচ্চারণঃ“ফী সিদ্রিম মাখদ্বুদিঁও।”
অর্থঃ”তারা থাকবে কাঁটাবিহীন কুলগাছের নিচে,”
২৯.وَطَلْحٍ مَنْضُودٍ
বাংলা উচ্চারণঃ“অত্বোয়ালহম মানদ্বুদিঁও।”
অর্থঃ”আর কাঁদিপণূর্ কলাগাছের নিচে,”
৩০.وَظِلٍّ مَمْدُودٍ
বাংলা উচ্চারণঃ“অজিল্লিম মামদূদিঁও।”
অর্থঃ”আর বিস্তৃত ছায়ায়,”
৩১.وَمَاءٍ مَسْكُوبٍ
বাংলা উচ্চারণঃ“অমা-য়িম মাস্কূবিঁও।”
অর্থঃ”আর সদা প্রবাহিত পানির পাশে,”
৩২.وَفَاكِهَةٍ كَثِيرَةٍ
বাংলা উচ্চারণঃ“অ ফা- কিহাতিন কাছীরাতিল।”
অর্থঃ”আর প্রচুর ফলমূলে,”
৩৩.لَا مَقْطُوعَةٍ وَلَا مَمْنُوعَةٍ
বাংলা উচ্চারণঃ“লা-মাকতুআতিঁও অলা-মাম্নূ‘আতিঁও ।”
অর্থঃ”যা শেষ হবে না এবং নিষিদ্ধও হবে না।”
৩৪.وَفُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ
বাংলা উচ্চারণঃ“অফুরুশিম মারফূ‘আহ।”
অর্থঃ”(তারা থাকবে) সুউচ্চ শয্যাসমূহে,”
৩৫.إِنَّا أَنْشَأْنَاهُنَّ إِنْشَاءً
বাংলা উচ্চারণঃ“ইন্না য় আনশানা-হুন্না ইনশা-য়ান।”
অর্থঃ”নিশ্চয় আমি হূরদেরকে বিশেষভাবে সৃষ্টি করব।”
৩৬.فَجَعَلْنَاهُنَّ أَبْكَارًا
বাংলা উচ্চারণঃ“ফাজ্বা‘আলনা-হুন্না আবকা-রন।”
অর্থঃ”অতঃপর তাদেরকে বানাব কুমারী,”
৩৭.عُرُبًا أَتْرَابًا
বাংলা উচ্চারণঃ“উ’রুবান আত্র-বাল”
অর্থঃ”সোহাগিনী ও সমবয়সী।”
৩৮.لِأَصْحَابِ الْيَمِينِ
বাংলা উচ্চারণঃ“লিআছহা-বিল ইয়ামীন।”
অর্থঃ”ডানদিকের লোকদের জন্য।”
৩৯.ثُلَّةٌ مِنَ الْأَوَّلِينَ
বাংলা উচ্চারণঃ“ছুল্লাতুম মিনাল আউয়্যালীনা।”
অর্থঃ”তাদের অনেকে হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে।”
৪০.وَثُلَّةٌ مِنَ الْآخِرِينَ
বাংলা উচ্চারণঃ“অছুল্লাতুম মিনাল আ-খিরীন।”
অর্থঃ”আর অনেকে হবে পরবর্তীদের মধ্য থেকে।”
৪১. وَأَصْحَابُ الشِّمَالِ مَا أَصْحَابُ الشِّمَالِ
বাংলা উচ্চারণঃ“অআছহা-বুশ শিমা- লি মা য় আছহা-বুশ শিমা-ল।”
অর্থঃ”আর বাম দিকের দল, কত হতভাগ্য বাম দিকের দল!”
৪২.فِي سَمُومٍ وَحَمِيمٍ
বাংলা উচ্চারণঃ“ফী সামূমিঁও অহামীমিঁও।”
অর্থঃ”তারা থাকবে তীব্র গরম হাওয়া এবং প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানিতে,”
৪৩.وَظِلٍّ مِنْ يَحْمُومٍ
বাংলা উচ্চারণঃ“অজিল্লিম মিঁ ইয়াহ্মূমিল।”
অর্থঃ”আর প্রচণ্ড কালো ধোঁয়ার ছায়ায়,”
৪৪.لَا بَارِدٍ وَلَا كَرِيمٍ
বাংলা উচ্চারণঃ“লা-বা-রিদিঁও অলা-কারীম।”
অর্থঃ”যা শীতলও নয়, সখু করও নয়।”
৪৫.إِنَّهُمْ كَانُوا قَبْلَ ذَلِكَ مُتْرَفِينَ
বাংলা উচ্চারণঃ“ইন্নাহুম ক্বা-নূ ক্বব্লা যা-লিকা মুত্রাফীন।”
অর্থঃ”নিশ্চয় তারা ইতঃপূবের বিলাসিতায় মগ্ন ছিল,”
৪৬.وَكَانُوا يُصِرُّونَ عَلَى الْحِنْثِ الْعَظِيمِ
বাংলা উচ্চারণঃ“অকা-নূ ইয়ুর্ছিরূ-না ‘আলাল হিনছল ‘আজীম।”
অর্থঃ”আর তারা জঘন্য পাপে লেগে থাকত।”
৪৭.وَكَانُوا يَقُولُونَ أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَبْعُوثُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ “অকা-নূ ইয়াকু লূনা আইযা-মিত্না-অকুন্না-তুরা-বাঁও অই’জোয়া-মান য়াইন্না-লামাবঊছূনা।”
অর্থঃ”আর তারা বলত, ‘আমরা যখন মরে যাব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব’?”
৪৮.أَوَآبَاؤُنَا الْأَوَّلُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“আওয়াআ-বা-য়ু নাল আওয়ালূন।”
অর্থঃ”আমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষরাও?”
৪৯.قُلْ إِنَّ الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ
বাংলা উচ্চারণঃ“কুল ইন্নাল আউয়্যালীনা অলআ-খিরীনা”
অর্থঃ”নিশ্চয় পূর্ববর্তীরা ও পরবর্তীরা,”
৫০.لَمَجْمُوعُونَ إِلَى مِيقَاتِ يَوْمٍ مَعْلُومٍ
বাংলা উচ্চারণঃ“ লামাজ্ব মূ‘ঊ না ইলা-মীক্ব-তি ইয়াওমিম মা’লূম।”
অর্থঃ”এক নির্ধারিত দিনের নির্দিষ্ট সময়ে অবশ্যই একত্র হবে।”
৫১.ثُمَّ إِنَّكُمْ أَيُّهَا الضَّالُّونَ الْمُكَذِّبُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“ ছুম্মা ইন্নাকুম আইয়ুহাদ্দোয়া-ল্লূনাল মুকায্যিবূন।”
অর্থঃ”তারপর হে পথভ্রষ্ট ও অস্বীকারকারীরা,”
৫২.لَآكِلُونَ مِنْ شَجَرٍ مِنْ زَقُّومٍ
বাংলা উচ্চারণঃ“ লাআ-কিলূনা মিন শাজ্বারিম মিন যাককুমিন”
অর্থঃ”তোমরা অবশ্যই যাক্কূম গাছ থেকে খাবে,”
৫৩.فَمَالِئُونَ مِنْهَا الْبُطُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“ ফামা-লিয়ূনা মিনহাল বুতুন ।”
অর্থঃ”অতঃপর তা দিয়ে পেট ভর্তি করবে।”
৫৪.فَشَارِبُونَ عَلَيْهِ مِنَ الْحَمِيمِ
বাংলা উচ্চারণঃ“ফাশা-রিবূনা ‘আলাইহি মিনাল হামীম।’”
অর্থঃ”দুপরি পান করবে প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানি।”
৫৫.فَشَارِبُونَ شُرْبَ الْهِيمِ
বাংলা উচ্চারণঃ“ফাশা-রিবূনা র্শুবাল হীম।”
অর্থঃ”অতঃপর তোমরা তা পান করবে তৃষ্ণাতুর উটের ন্যায়।”
৫৬.هَذَا نُزُلُهُمْ يَوْمَ الدِّينِ
বাংলা উচ্চারণঃ“হা-যা-নুযুলুহুম ইয়াওমাদ্দীন।”
অর্থঃ”প্রতিফল দিবসে এই হবে তাদের মেহমানদারী,”
৫৭.نَحْنُ خَلَقْنَاكُمْ فَلَوْلَا تُصَدِّقُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“নাহ্নু খলাকনা-কুম ফালাওলা তুছোয়াদ্দিক্বূন।”
অর্থঃ”আমিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি: তাহলে কেন তোমরা তা বিশ্বাস করছ না?”
৫৮.أَفَرَأَيْتُمْ مَا تُمْنُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“আফারায়াইতুম মা তুম্নূন।”
অর্থঃ”তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমরা যে বীযর্পাত করছ সে সম্পর্কে?”
৫৯.أَأَنْتُمْ تَخْلُقُونَهُ أَمْ نَحْنُ الْخَالِقُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“আআন্তুম তাখলুকু নাহূ য় আম নাহ্নুল ‘খ-লিকুন ।”
অর্থঃ”তা কি তোমরা সৃষ্টি কর, না আমিই তার স্রষ্টা?”
৬০.نَحْنُ قَدَّرْنَا بَيْنَكُمُ الْمَوْتَ وَمَا نَحْنُ بِمَسْبُوقِينَ
বাংলা উচ্চারণঃ“নাহ্নু ক্বার্দ্দানা-বাইনাকুমুল মাওতা অমা-নাহ্নু বিমাস্বূক্বীন।”
অর্থঃ”আমি তোমাদের মধ্যে মৃত্যু নির্ধারণ করেছি এবং আমাকে অক্ষম করা যাবে না,”
৬১.عَلَى أَنْ نُبَدِّلَ أَمْثَالَكُمْ وَنُنْشِئَكُمْ فِي مَا لَا تَعْلَمُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“ আলা আন নুবাদ্দিলা আমছা-লাকুম অনুনিশয়াকুম আমছা-লাকুম অনুনিশয়াকুম ফীমা-লা-তা’লামূন।”
অর্থঃ”তোমাদের স্থানে তোমাদের বিকল্প আনয়ন করতে এবং তোমাদেরকে এমনভাবে সৃষ্টি করতে যা তোমরা জান না।”
৬২.وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ النَّشْأَةَ الْأُولَى فَلَوْلَا تَذَكَّرُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“ অলাক্বদ ‘আলিম্তুমুন নাশ্য়াতাল ঊলা-ফালাওলা- তাযাক্কারূন।”
অর্থঃ”আর তোমরা তো প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে জেনেছ, তবে কেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ করছ না?”
৬৩.أَفَرَأَيْتُمْ مَا تَحْرُثُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“আফারায়াইতুম মা-তাহারুছূন।”
অর্থঃ”তোমরা আমাকে বল, তোমরা যমীনে যা বপন কর সে ব্যাপারে,”
৬৪.أَأَنْتُمْ تَزْرَعُونَهُ أَمْ نَحْنُ الزَّارِعُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“আআন্তুম তায্রঊ’নাহূ আম নাহ্নুয যা-রিঊ’ন।”
অর্থঃ”তোমরা তা অঙ্কুরিত কর, না আমি অঙ্কুরিত করি?”
৬৫.لَوْ نَشَاءُ لَجَعَلْنَاهُ حُطَامًا فَظَلْتُمْ تَفَكَّهُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“লাও নাশা-য়ু লাজ্বা‘আলনা-হু হুত্বোয়া-মান ফাজোয়াল্তুম তাফাক্কাহূন।”
অর্থঃ”আমি চাইলে তা খড়-কুটায় পরিণত করতে পারি, তখন তোমরা পরিতাপ করতে থাকবে”
৬৬.إِنَّا لَمُغْرَمُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“ ইন্না-লামুগ্রমূন।”
অর্থঃ”(এই বলে,) ‘নিশ্চয় আমরা দায়গ্রস্ত হয়ে গেলাম’।”
৬৭.بَلْ نَحْنُ مَحْرُومُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“ বাল নাহ্নু মাহ্রূমূন।”
অর্থঃ”বরং আমরা মাহরূম হয়েছি।”
৬৮.أَفَرَأَيْتُمُ الْمَاءَ الَّذِي تَشْرَبُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“ আফারয়াইতুমুল মা-য়াল লাযী তাশ্রবূন।”
অর্থঃ”তোমরা যে পানি পান কর সে ব্যাপারে আমাকে বল।”
৬৯.أَأَنْتُمْ أَنْزَلْتُمُوهُ مِنَ الْمُزْنِ أَمْ نَحْنُ الْمُنْزِلُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“ আআন্তুম আন যাল্তুমূহু মিনাল মুযিন আম নাহ্নুল মুন্যিলূন।”
অর্থঃ”বৃষ্টিভরা মেঘ থেকে তোমরা কি তা বষর্ণ কর, না আমি বৃষ্টি বষর্ণ কারী?”
৭০.لَوْ نَشَاءُ جَعَلْنَاهُ أُجَاجًا فَلَوْلَا تَشْكُرُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“লাও নাশা-য়ু জ্বা‘আলনা-হু উজ্বা-জ্বান ফালাওলা- তাশকুরূন।”
অর্থঃ”ইচ্ছা করলে আমি তা লবণাক্ত করে দিতে পারি: তবুও কেন তোমরা কৃতজ্ঞ হও না?”
৭১.أَفَرَأَيْتُمُ النَّارَ الَّتِي تُورُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“আফারয়াইতুমু ন্না-র ল্লাতী তূরূন।”
অর্থঃ”তোমরা যে আগুন জ্বালাও সে ব্যাপারে আমাকে বল,”
৭২.أَأَنْتُمْ أَنْشَأْتُمْ شَجَرَتَهَا أَمْ نَحْنُ الْمُنْشِئُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“আ-আন্তুম আনশাতুম শাজ্বারতাহা আম নাহ্নুল মুশিয়ূন।”
অর্থঃ”তোমরাই কি এর (লাকড়ির গাছ) উৎপাদন কর, না আমি করি?”
৭৩.نَحْنُ جَعَلْنَاهَا تَذْكِرَةً وَمَتَاعًا لِلْمُقْوِينَ
বাংলা উচ্চারণঃ“নাহ্নু জ্বা‘আলনা-হা তাযিকরতাঁও অমাতা-‘আল লিল্মুকওয়ীন।”
অর্থঃ”একে আমি করেছি এক স্মারক ও মরুবাসীর প্রয়োজনীয় বস্তু”
৭৪.فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ
বাংলা উচ্চারণঃ“ফাসাব্বিহ বিস্মি রব্বিকাল ‘আজীম।”
অর্থঃ”অতএব তোমার মহান রবের নামে তাসবীহ পাঠ কর।”
৭৫.فَلَا أُقْسِمُ بِمَوَاقِعِ النُّجُومِ
বাংলা উচ্চারণঃ“ফালা উক্বসিমু বিমাওয়া-ক্বি‘ইন নুজুমি।”
অর্থঃ”সুতরাং আমি কসম করছি নক্ষত্ররাজির অস্তাচলের,”
৭৬.وَإِنَّهُ لَقَسَمٌ لَوْ تَعْلَمُونَ عَظِيمٌ
বাংলা উচ্চারণঃ“অইন্নাহূ লাক্বাসামু ল্লাও তা’লামূনা ‘আজীম।”
অর্থঃ” আর নিশ্চয় এটি এক মহাকসম, যদি তোমরা জানতে,”
৭৭.إِنَّهُ لَقُرْآنٌ كَرِيمٌ
বাংলা উচ্চারণঃ“ইন্নাহূ লা কুর আ-নুন কারীমুন।”
অর্থঃ” নিশ্চয় এটি মহিমান্বিত কুরআন,”
৭৮.فِي كِتَابٍ مَكْنُونٍ
বাংলা উচ্চারণঃ“ফী কিতা-বিম মাক্নূনিল।”
অর্থঃ” যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে,”
৭৯.لَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“লা ইয়া সসুহূ ইল্লাল মুত্বোয়াহ হারূন।”
অর্থঃ”কেউ তা স্পর্শ করবে না পবিত্রগণ ছাড়া।”
৮০.تَنْزِيلٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ
বাংলা উচ্চারণঃ“তান্যীলুম র্মি রব্বিল ‘আ-লামীন।”
অর্থঃ”তা সৃষ্টিকুলের রবের কাছ থেকে নাযিলকৃত।”
৮১.أَفَبِهَذَا الْحَدِيثِ أَنْتُمْ مُدْهِنُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“আফাবিহা-যাল হাদীছি আন্তুম মুদিহনূনা।”
অর্থঃ”তবে কি তোমরা এই বাণী তুচ্ছ গণ্য করছ?”
৮২.وَتَجْعَلُونَ رِزْقَكُمْ أَنَّكُمْ تُكَذِّبُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“অতাজ্ব ‘আলূনা রিয্ক্বকুম আন্নাকুম তুকায্যিবূন।”
অর্থঃ”আর তোমরা তোমাদের রিয্ক বানিয়ে নিয়েছ যে, তোমরা মিথ্যা আরোপ করবে।”
৮৩.فَلَوْلَا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ
বাংলা উচ্চারণঃ“ফালাওলা ইযা-বালাগতিল হুল্ক্বুম।”
অর্থঃ”সুতরাং কেন নয়- যখন রূহ কণ্ঠদেশে পৌঁছে যায়?”
৮৪.وَأَنْتُمْ حِينَئِذٍ تَنْظُرُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“অআন্তুম হীনায়িযিন তানজুরূনা।”
অর্থঃ”আর তখন তোমরা কেবল চেয়ে থাক।”
৮৫.وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْكُمْ وَلَكِنْ لَا تُبْصِرُونَ
বাংলা উচ্চারণঃ“অনাহ্নু আকরাবু ইলাইহি মিনকুম অলা-কিল্লা-তুবিছরূন।”
অর্থঃ”আর তোমাদের চাইতে আমি তার খুব কাছে; কিন্তু তোমরা দেখতে পাও না।”
৮৬.فَلَوْلَا إِنْ كُنْتُمْ غَيْرَ مَدِينِينَ
বাংলা উচ্চারণঃ“ফালাওলা ইন কুন্তুম গইর মাদীনীন।”
অর্থঃ”তোমাদের যদি প্রতিফল দেয়া না হয়, তাহলে তোমরা কেন”
৮৭.تَرْجِعُونَهَا إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ
বাংলা উচ্চারণঃ“র্তাজ্বি‘ঊনাহা ইন কুন্তুম ছোয়া-দিক্বীন।”
অর্থঃ”ফিরিয়ে আনছ না রূহকে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও?”
৮৮.فَأَمَّا إِنْ كَانَ مِنَ الْمُقَرَّبِينَ
বাংলা উচ্চারণঃ“ফা আম্মা ইন কা-না মিনাল মুর্ক্বারবীন।”
অর্থঃ”অতঃপর সে যদি নৈকট্যপ্রাপ্তদের অন্যতম হয়,”
৮৯.فَرَوْحٌ وَرَيْحَانٌ وَجَنَّةُ نَعِيمٍ
বাংলা উচ্চারণঃ“ফারওহুঁও অরইহা-নুঁও অজ্বান্নাতু না‘ঈম।”
অর্থঃ” তবে তার জন্য থাকবে বিশ্রাম, উত্তম জীবনোপকরণ ও সুখময় জান্নাত।”
৯০.وَأَمَّا إِنْ كَانَ مِنْ أَصْحَابِ الْيَمِينِ
বাংলা উচ্চারণঃ“ওয়া আম্মাইন কা-না মিন আছহা-বিল ইয়ামীন।”
অর্থঃ” আর সে যদি হয় ডানদিকের একজন,”
৯১.فَسَلَامٌ لَكَ مِنْ أَصْحَابِ الْيَمِينِ
বাংলা উচ্চারণঃ“ফাসালা-মুল লাকা মিন আছহা-বিল ইয়ামীন।”
অর্থঃ” তবে (তাকে বলা হবে), ‘তোমাকে সালাম, যেহেতু তুমি ডানদিকের একজন’।”
৯২.وَأَمَّا إِنْ كَانَ مِنَ الْمُكَذِّبِينَ الضَّالِّينَ
বাংলা উচ্চারণঃ“ওয়া আম্মাইন কা-না মিনাল মুকায্যিবীনাদ্ব দ্বোয়া-ল্লীন।”
অর্থঃ” আর সে যদি হয় অস্বীকারকারী ও পথভ্রষ্ট,”
৯৩.فَنُزُلٌ مِنْ حَمِيمٍ
বাংলা উচ্চারণঃ“ফা নুযুলুম মিন হামীমিঁও।”
অর্থঃ” তবে তার মেহমানদারী হবে প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানি দিয়ে,”
৯৪.وَتَصْلِيَةُ جَحِيمٍ
বাংলা উচ্চারণঃ“ওয়া তাছিলয়াতু জ্বাহীম।”
অর্থঃ”আর জ্বলন্ত আগুনে প্রজ্জ্বলনে।”
৯৫.إِنَّ هَذَا لَهُوَ حَقُّ الْيَقِينِ
বাংলা উচ্চারণঃ“ইন্না হা-যা-লাহুওয়া হাককুল ইয়াক্বীন।”
অর্থঃ”নিশ্চয় এটি অবধারিত সত্য।”
৯৬.فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ
বাংলা উচ্চারণঃ“ফাসাব্বিহ বিস্মি রব্বিকাল ‘আজীম।”
অর্থঃ”অতএব তোমার মহান রবের নামে তাসবীহ পাঠ কর।”
মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়া পড়ার ফজিলত
মহান আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুরআনে এমন একটি সূরা নাযিল করেছেন যে সূরা তেলাওয়াত করলে আল্লাহ তা'আলা দারিদ্রতা থেকে মুক্তি দেন এবং অভাব দূর করে দেন। সেই সূরাটি হলো সূরা ওয়াকিয়া। তবে অনেকেই জানেন না এই সূরা কখন তেলাওয়াত করতে হয়। সূরা ওয়াকিয়া মাগরিবের নামাজের পরে তেলাওয়াত করতে হয়।মাগরিবের পরে সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করার অনেক ফজিলত রয়েছে।
১.মাগরিবের পরে সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করলে তাকে কখনো দারিদ্রতা গ্রাস করতে পারবে না।
২.প্রতিদিন মাগরিবের পরে সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করলে অভাব দূর হয়ে যাবে।
সূরা ওয়াকিয়ার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস
সূরা ওয়াকিয়ার ফজিলত সম্পর্কে অনেক হাদিস রয়েছে। সূরা ওয়াকিয়া অনেক ফজিলতপূর্ণ একটি সূরা। কারণ এই সুরা তেলাওয়াত করার মাধ্যমে দারিদ্রতা দূর করা যায়।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ”যে ব্যক্তি সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করবে সে কখনো ক্ষুধায় কষ্ট ভোগ করবে না।”
এ সম্পর্কে বায়হাকী হাদিসে এসেছে, বিখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বর্ণনা করে বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ”যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করবে, তাকে কখনো দারিদ্র স্পর্শ করবে না।”
সর্বোপরি দারিদ্রতা দূর করার জন্য প্রতিদিন মাগরিবের পরে সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করতে হবে। কারণ এই সূরা তেলাওয়াত করার মাধ্যমেই দুনিয়াতে দারিদ্রতা বা ক্ষুধার কষ্ট দূর করা সম্ভব।