মহিলাদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা

মহিলাদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা


বর্তমানে অধিকাংশ মহিলা-পুরুষের  প্রস্রাবের ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দেয়। তবে এর মধ্যে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের প্রস্রাবে ইনফেকশনের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তাই আমাদের আজকের এই পোস্টের আলোচ্য বিষয় হলো মহিলাদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করার কারণ, পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কেন করে, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কিসের লক্ষণ, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমানোর উপায়, মহিলাদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া চিকিৎসা, প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া ঔষধ কি, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে কোন ডাক্তার দেখাতে হবে এবং প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে করণীয়।


মহিলাদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা


আমরা আজ এই পোস্টে আলোচনা করব মহিলাদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা



মহিলাদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করার কারণ


বিভিন্ন কারণে মহিলাদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া করে।প্রসাবে জ্বালাপোড়ার কারণ যদি আমরা সঠিকভাবে জানতে পারি। তাহলে সহজে আমরা প্রসাবে জ্বালাপোড়া প্রতিরোধ করতে পারি। নিচে কারণগুলো দেওয়া হলঃ


১.পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা।

২.প্রসাবের নালীতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে প্রসবের জ্বালাপোড়া করতে পারে।

৩.প্রসাবের বেগ অনেকক্ষণ চেপে রাখা।

৪.মাসিকের সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন সময় মতো পরিবর্তন না করা।

৫.সহবাসের আগে প্রস্রাব না করা।

৬.সহবাসের পরে পরিষ্কার না হওয়া।

৭.প্রসবের রাস্তা পরিষ্কার না করা বা শুষ্ক না রাখা।

৮.কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করতে পারে।


উপরোক্ত কারণগুলোর কারণে প্রসাবে জ্বালাপোড়া করতে পারে। তাই উপরোক্ত কারণগুলো যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। তাহলে প্রসাবে জ্বালাপোড়া প্রতিরোধ করা যেতে পারে।



পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কেন করে


মহিলাদের মত পুরুষের ও  প্রসাবে ইনফেকশন বা প্রসবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া করে। নিচে পুরুষদের প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া করার কারণ দেওয়া হলঃ


১.পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা।

২.প্রসাবের নারীতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে প্রসাবে জ্বালাপোড়া করতে পারে।

৩.প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের ইনফেকশন দেখা দিলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করতে পারে।

৪.অনেকক্ষণ প্রসাবের বেগ ধরে রাখার কারণে ও প্রসাবের জ্বালাপোড়া করতে পারে।

৫.প্রস্রাবের বেগ নিয়ে সহবাস করলে প্রসাবে জ্বালাপোড়া করতে পারে।

৬.অতিরিক্ত কফি খাওয়ার ফলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করতে পারে।

৭.অতিরিক্ত ধূমপান, অ্যালকোহল বা মদ্যপান করলে প্রসাবে জ্বালাপোড়া করতে পারে।

৮.কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করতে পারে।



প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কিসের লক্ষণ


বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হিসেবে প্রসাবে জ্বালাপোড়া করতে পারে। কিন্তু  আমরা অনেক সময় এটি সাধারণ সমস্যা মনে করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয় না। তবে প্রসাবে ইনফেকশন করলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।


১.অনেক সময় কিডনিতে পাথর বা কিডনি ড্যামেজ হয়ে যাওয়ার কারণে প্রসাবে জ্বালাপোড়া করতে পারে। তাই কিডনিতে সমস্যা প্রসাদ জ্বালাপোড়া করার অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। 

২.ইউটিআই সমস্যা প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করার লক্ষণ হতে পারে।

৩.প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডে ইনফেকশন বা সমস্যা প্রসাবে জ্বালাপোড়া করার লক্ষণ হতে পারে।

৪.সেক্সুয়াল ট্রান্সমিটেড সমস্যা যেমন- গনোরিয়া প্রসাবে জ্বালাপোড়া করার লক্ষণ হতে পারে।



প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমানোর উপায়



সাধারণত জীবন যাত্রার মান পরিবর্তন করার ফলে প্রসাবে জ্বালাপোড়া করে থাকে। তাই কিছু করা উপায় অবলম্বন করলেই প্রসাবে ইনফেকশন প্রতিরোধ করা যেতে পারে।


১.প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

২.বিভিন্ন ধরনের শরবত যেমন- ডাবের পানি, ফলের শরবত এবং শসার শরবত খাওয়া যেতে পারে।  এই শরবত গুলো প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।

৩.প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমাতে লেবুর শরবত খাওয়া যেতে পারে। কারণ লেবুর শরবত প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।

৪.ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া যেতে পারে। কারণ ভিটামিন সি প্রস্রাবের নালীতে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। যার ফলে প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমে যেতে পারে।

৫.প্রসাবের রাস্তা সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বা শুষ্ক রাখতে হবে।



মহিলাদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা



১.প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

২.বিভিন্ন ধরনের শরবত যেমন- ডাবের পানি, ফলের শরবত এবং শসার শরবত খাওয়া যেতে পারে।  এই শরবত গুলো প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।

৩.প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমাতে লেবুর শরবত খাওয়া যেতে পারে। কারণ লেবুর শরবত প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।

৪.ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া যেতে পারে। কারণ ভিটামিন সি প্রস্রাবের নালীতে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। যার ফলে প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমে যেতে পারে।

৫.প্রসাবের রাস্তা সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বা শুষ্ক রাখতে হবে।

৬.ঘরোয়া উপায়ে প্রসাবে ইনফেকশন না কমলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে এবং সেই অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।



প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া ঔষধ কি


প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া করলে একজন ইউরোলজিস্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উচিত এবং সেই অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা উচিত। এছাড়াও প্রসাবে জ্বালাপোড়া হলে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলেই প্রসাবে জ্বালাপোড়া দূর করা যেতে পারে। এ সময় বেশি বেশি করে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং প্রসবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া করার অন্যতম কারণ হলো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ। আর তাই ভিটামিন সি এই ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করে।



প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে কোন ডাক্তার দেখাতে হবে



প্রসাবে জ্বালাপোড়া বা প্রসাবে ইনফেকশন বা প্রসবের রাস্তায় ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দিলে একজন ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উত্তম। কারণ ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার প্রসাবে রাস্তায় ইনফেকশন বা জ্বালাপোড়া বা পোস্টেট গ্লান্ডে ইনফেকশন ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।



প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে করণীয়



জীবনযাত্রার মান কিছুটা পরিবর্তন করলেই সহজেই প্রসাবে জ্বালাপোড়া প্রতিরোধ করা সম্ভব। এছাড়াও প্রসাবে ইনফেকশন হলে কিছু উপায় অবলম্বন করলে প্রসাবে ইনফেকশন বা জ্বালাপোড়া কমে যেতে পারে।


১.প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

২.ভিটামিন সি সমৃদ্ধ শাকসবজি এবং ফলমূল খেতে হবে।

৩.প্রসাবের বেগ বেশিক্ষণ ধরে রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৪.ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৫.অতিরিক্ত অ্যালকোহল ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে ।

৬.সহবাসের আগে এবং পরে প্রস্রাব করতে হবে এবং ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
৭.প্রসবের রাস্তা সবসময় শুষ্ক ও রাখতে হবে।



সর্বোপরি প্রসাবে জ্বালাপোড়া করা নারী ও পুরুষের একটি কমন সমস্যা। মূলত অস্বাভাবিক বা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে প্রসাবের জ্বালাপোড়া করতে পারে। তাই আমাদের সবসময়ই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

*

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم