সিরাম ইলেক্ট্রোলাইট টেস্ট কেন করা হয়

সিরাম ইলেক্ট্রোলাইট টেস্ট কেন করা হয় 


আমাদের শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য কিছু খনিজ পদার্থ শরীরে কাজ করে। আর এই খনিজ পদার্থ গুলো শরীরে সঠিক পরিমাণে থাকে বলেই ভারসাম্য বজায় রেখে কাজ করতে পারে। আর এই খনিজ পদার্থ গুলোকেই চিকিৎসকের ভাষায় ইলেকট্রোলাইট বলা হয়।তাই আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন সিরাম ইলেকট্রোলাইট টেস্ট কি, সিরাম ইলেকট্রোলাইট টেস্ট কেন করা হয়, ইলেকট্রোলাইট কমে গেলে কি হয়, সিরাম ইলেকট্রোলাইট টেস্ট খরচ এবং সিরাম ইলেক্ট্রোলাইট এর গুরুত্ব সম্পর্কে।


সিরাম ইলেক্ট্রোলাইট টেস্ট কেন করা হয়


আমরা আজ এই পোস্টে আলোচনা করব সিরাম ইলেক্ট্রোলাইট টেস্ট কেন করা হয়



সিরাম ইলেকট্রোলাইট টেস্ট কি


সিরাম ইলেকট্রোলাইট টেস্ট হলো এমন একটি রক্ত বা প্রস্রাবের টেস্ট। যার মাধ্যমে শরীরে উপস্থিত থাকা খনিজ পদার্থগুলো সঠিকভাবে পরিমাপ করা হয়।


সিরাম ইলেকট্রোলাইট টেস্ট কেন করা হয়


১.শরীরে দুর্বলতা দেখা দিলে চিকিৎসক সিরাম ইলেকট্রোলাইট টেস্ট করার পরামর্শ দেন ।


২.শরীরে অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ অনুভূত হলে চিকিৎসক সিরাম ইলেকট্রোলাইট টেস্ট করার পরামর্শ দেন।


৩.অতিরিক্ত বমি হলে চিকিৎসক সিরাম ইলেকট্রোলাইট টেস্ট করার পরামর্শ দেন ।


৪.ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসক সিরাম ইলেকট্রোলাইট টেস্ট করার পরামর্শ দেন ।


৫.এছাড়াও দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন- কিডনি রোগ, হার্টের সমস্যা, অতিরিক্ত প্রেসার, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, এর সমস্যা থাকলে চিকিৎসক সিরাম ইলেকট্রোলাইট টেস্ট করার পরামর্শ দেন।


৬.এছাড়াও শরীরে রুটিন চেকআপ করার জন্য চিকিৎসক ইলেকট্রোলাইট টেস্ট করার পরামর্শ দেন।



ইলেকট্রোলাইট কমে গেলে কি হয়


১. ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা কমে গেলে শারীরিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি ভাব দেখা দেয়।


২.শরীরে ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা কমে গেলে অতিরিক্ত বমি হয়।


৩.ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা কমে গেলে ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দেয়।


৪.শরীরে ইলেকট্রোলাইটের পরিমাণ কমে গেলে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।


৫.শরীরে ইলেকট্রোলাইটের পরিমাণ কমে গেলে মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।


৬.শরীরে ইলেকট্রোলাইটের পরিমাণ কমে গেলে খিচুনির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।



ইলেকট্রোলাইট বেড়ে গেলে কি হয়


১. শরীরে ইলেকট্রোলাইটের পরিমাণ বেড়ে গেলে অতিরিক্ত তৃষ্ণা পেতে পারে।


২.শরীরে ইলেকট্রোলাইটের পরিমাণ বেড়ে গেলে উচ্চ রক্তচাপ বা প্রেসার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


৩.শরীরে ইলেকট্রোলাইটের পরিমাণ বেড়ে গেলে মাংসপেশিতে কামড়ানো বা টান অনুভূত হতে পারে।



সিরাম ইলেকট্রোলাইট টেস্ট খরচ 


সিরাম ইলেকট্রোলাইট টেস্ট করতে যেকোনো সরকারি হাসপাতালে ১৫০ -৩৫০ টাকা এবং যেকোনো বেসরকারি হাসপাতালে ১০০০ -১৫০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে।



সিরাম ইলেক্ট্রোলাইট এর গুরুত্ব 


আমাদের শরীরের জন্য ইলেকট্রোলাইট এর গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ এই ইলেকট্রোলাইটসের মধ্যে থাকা খনিজ পদার্থ গুলো আমাদের শরীরে ভারসাম্য রক্ষা করে, কোষের বৈদ্যুতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, মাংসপেশির কার্যক্ষমতা বা সংকোচন প্রসারণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা পালন করে এবং শরীরে থাকা তরল পদার্থ করে বা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।



সর্বোপরি ইলেকট্রোলাইট আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শরীরে যাতে ইলেকট্রোলাইটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তার জন্য প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর রুটিন চেকআপে ইলেকট্রোলাইট টেস্ট করা উত্তম।

*

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم