বুকের বাম পাশে ব্যথা হলে কি হয়

বুকের বাম পাশে ব্যথা হলে কি হয়


অনেক সময় হঠাৎ করেই আমাদের বুকে ব্যথা হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে বুকে ব্যথা অনুভূত হয়। অনেক সময় এই ব্যথা বাম পাশে হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা এই বাম পাশের বুকে ব্যথা স্বাভাবিক মনে করে গুরুত্ব দেয় না। তবে অনেক সময় এই ব্যথা পরবর্তীতে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। 


তাই আমাদের আজকের এই পোষ্টের আলোচ্য বিষয় হলো বুকের বাম পাশে ব্যথা হয় কেন, বুকের মাঝখানে ব্যথার কারণ কি, বুকের বাম পাশে ব্যথা হলে কি হয়, বুকের বাম পাশে ব্যথা দূর করার উপায়,হার্টের ব্যথা বুকের কোন পাশে হয়,হার্টের সমস্যার লক্ষণ,হার্টের জন্য উপকারী খাবার,হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার, হার্ট অ্যাটাক থেকে বাচার উপায়।





আমরা আজকে এই পোস্টে আলোচনা করব বুকের বাম পাশে ব্যথা হলে কি হয়



বুকের বাম পাশে ব্যথা হয় কেন



বুকের বাম পাশে ব্যথা অনুভূত হলেই সবাই মনে করে হার্টের সমস্যা জনিত কারণে বা হার্ট অ্যাটাকের কারণে বুকে ব্যথা অনুভূত হচ্ছে। তবে এছাড়াও বিভিন্ন কারনে বুকে ব্যথা অনুভূত হতে পারে । নিচে কারণগুলো দেওয়া হলঃ


১.হার্টে সমস্যা জনিত কারণে বা হার্ট এটাকের কারণে বুকের বাম পাশে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

২.হার্টে থাকা  ধমনী বা শিরা ছিঁড়ে গেলে বুকের বাম পাশে ব্যাথা অনুভূত হতে পারে।

৩.শিরা বা ধমনীতে অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের কারণে রক্ত প্রবাহ ব্যাহত হলে বুকের বাম পাশে ব্যাথা অনুভূত হতে পারে। পরবর্তীতে যেটা হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

৪.অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিলে বুকের বাম পাশে ব্যাথা অনুভূত হতে পারে।

৫.হার্টের পেশি অস্বাভাবিকভাবে ঘন যাওয়ার কারণে বুকের বাম পাশে ব্যাথা অনুভূত হতে পারে ।

৬.পাকস্থলীতে ইনফেকশনের কারণে বুকের বাম পাশে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

৮.ফুসফুসে ইনফেকশন বা ক্ষত জনিত কারণে বুকের বাম পাশে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

৯.মাংসপেশিতে টান বা আঘাত জনিত কারণে বুকের বাম পাশে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

১০.বুকের পাজরে ফাটল দেখা দিলে বা খিচুনির সমস্যা দেখা দিলে অনুভূত হতে পারে।

১১.শ্বাসকষ্টের সমস্যা জনিত কারণে বুকের বাম পাশে ব্যাথা অনুভূত হতে পারে।

১২.হার্টে ছিদ্র বা ব্লক জনিত কারণে বুকের বাম পাশে ব্যথা অনুভূত হতে পারে ।

১৩.অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে বুকের বাম পাশে ব্যাথা অনুভূত হতে পারে।

১৪.অতিরিক্ত কাশির সমস্যা দেখা দিলে বুকের বাম পাশে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।




বুকের মাঝখানে ব্যথার কারণ কি



হার্টের সমস্যাজনিত কারণ ছাড়াও বিভিন্ন কারণে বুকের মাঝখানে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।


১.হার্ট অ্যাটাকের ফলে বুকের বাম পাশে ব্যাথা অনুভূত হয়। মাঝে মাঝে বুকের মাঝখানেও ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

২.হার্টে রক্ত চলাচল ব্যাহত হলে বুকের বাম পাশে ব্যথার সাথে সাথে মাঝখানে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

৩.হার্টের পেশী অস্বাভাবিকভাবে ঘন হয়ে গেলে পেশিতে প্রদাহ বেড়ে যায়। যার কারণে বুকের বাম পাশে ব্যাথা অনুভূত হয় । মাঝে মাঝে এর জন্য বুকের মাঝখানে ব্যাথা অনুভূত হতে পারে।

৪.অধিকাংশ সময়ে অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণে বুকের মাঝখানে ব্যথা অনুভূত হয়।

৫.ফুসফুসে ইনফেকশন জনিত কারণে বুকের মাঝখানে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

৬.পাকস্থলীতে ইনফেকশনের কারণে বা হজমে সমস্যা দেখা দিলে বুকের মাঝখানে ব্যাথা অনুভূত হতে পারে।

৭.শ্বাসকষ্টে সমস্যা জনিত কারণে বুকের মাঝখানে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

৮.হার্টে ছিদ্র বা ব্লক দেখা দিলে বুকের মাঝখানে ব্যথা অনুভূত হতে পারে ।

৯.অতিরিক্ত কাশির সমস্যা দেখা দিলে বুকের মাঝখানে  ব্যথা অনুভূত হতে পারে।




বুকের বাম পাশে ব্যথা হলে কি হয়



বুকের বাম পাশে ব্যথা বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হতে পারে।বুকের বাম পাশে ব্যথা হলে কি কি সমস্যা হতে পারে নিচে দেওয়া হলঃ




১.বুকের বাম পাশে ব্যথা হলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

২.বুকের বাম পাশে ব্যথা হলে অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৩.বাম পাশে বুকে ব্যথা ফুসফুসে ইনফেকশন এর লক্ষণ হতে পারে।

৪.বুকের বাম পাশে ব্যথা পাকস্থলীতে লক্ষণ হতে পারে।

৫.বুকের বাম পাশে ব্যথা উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ হতে পারে।

৬.বুকের বাম পাশে ব্যথা হার্টের ছিদ্র বা হার্ট ব্লকের লক্ষণ হতে পারে।


উপরোক্ত রোগের লক্ষণ হিসেবে বুকের বাম পাশে ব্যাথা অনুভুত হয়। তাই বুকের বাম পাশে ব্যাথা অনুভূত হলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।




বুকের বাম পাশে ব্যথা দূর করার উপায়



অনেক সময় হঠাৎ করে বুকে ব্যথা হয় কিন্তু ঠিকই কারণে বুকে ব্যথা হচ্ছে তা সঠিকভাবে না জানার কারণে পরবর্তীতে মারাত্মক ক্ষতিরগ্রস্তের সম্মুখীন হতে হয়। বুকে ব্যথা হলে বুকে ব্যথা দূর করার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে ঠিক কি কারনে বুকে ব্যথা অনুভূত হচ্ছে সেই অনুযায়ী ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে হবে।





১.যদি এ হার্ট অ্যাটাকের কারণে বুকে ব্যথা অনুভূত হয় তাহলে সাথে সাথে শুয়ে বিশ্রাম নিতে হবে।

২.হঠাৎ করে বুকে ব্যথা অনুভূত হলে রসুন খাওয়া যেতে পারে। কারণ রসুন হৃদরোগের ঝুঁকি বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।

৩.অনেক সময় অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের কারণে হাটে রক্ত চলাচলে ব্যাহত হয়। যার কারণে বুকে ব্যথা হয়। তাই বুকে ব্যথা অনুভূত হলে আদার রস খাওয়া যেতে পারে। এতে করে হার্টের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায়। যার কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।

৪.হঠাৎ করে বুকে ব্যথা অনুভূত হলে অ্যালোভেরার রস খাওয়া যেতে পারে। কারণ এলোভেরা রস হার্টের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। তাই যদি হার্টের সমস্যার কারণে বুকে ব্যথা অনুভূত হয়। তাহলে উষ্ণ গরম পানির সাথে ১ চামচ এলোভেরা রস মিশিয়ে খেলে বুকের ব্যথা কমে যেতে পারে।

৫.আপেল সিডার ভিনেগার বুকে ব্যথা কমানোর জন্য খুবই কার্যকরী। যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা জনিত কারণে বুকে ব্যথা অনুভূত হয়। তাহলে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া যেতে পারে। এতে করে দ্রুত গ্যাস কমিয়ে বুকের ব্যথা কমাতে পারে।


এছাড়াও যদি উপরোক্ত ঘরোয়া উপায় গুলো অবলম্বন করে বুকে ব্যথা না কমে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।



হার্টের ব্যথা বুকের কোন পাশে হয়



বুকে ব্যথা হলেই আমরা সাধারণত মনে করি হার্টে সমস্যা জনিত কারণে বুকে ব্যথা হচ্ছে । তবে বুকের যে কোন জায়গায় ব্যথা হলেই হার্টে সমস্যা হয় না। যদি বুকের বাম পাশে ব্যথা অনুভূত হয় এবং তার সাথে বাম হাত এবং চোয়ালে ব্যথা অনুভূত হয়। তাহলে হার্টের সমস্যা সমস্যার লক্ষণ বা হার্টের ব্যথার লক্ষণ হতে পারে। যা পরবর্তীতে হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অনেক সময় বুকের মাঝখানেও ব্যাথা অনুভূত হতে পারে । যদি বুকের বাম পাশে ব্যথার সাথে সাথে বাম হাতে এবং চোয়ালে ব্যথা করে। তাহলে অবশ্যই সাথে সাথে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এছাড়াও হাটে ব্যথা হলে বুকে ব্যথার সাথে সাথে পেটে ব্যথা ও হতে পারে।



হার্টের সমস্যার লক্ষণ


অধিকাংশ সময়ে হার্টে সমস্যার কারণে বুকে ব্যথা অনুভূত হয়। হার্টে সমস্যা দেখা দিলে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় যে লক্ষণগুলো দেখলে বোঝা যায় যে হার্টে সমস্যা হয়েছে। নিচে লক্ষণ গুলো দেওয়া হলোঃ 




১.বুকের বাম পাশে ব্যথা হওয়া।

২.বুকের বাম পাশে ব্যথার সাথে সাথে বাম হাতে ও চোয়ালে ব্যথা হওয়া।

৩.বুকের মাঝখানে ব্যথা হওয়া।

৪.বুক ধরফর করা।

৫.ঘাড়ে ব্যথা হওয়া।

৬.পেটে ব্যথা হওয়া।

৭.বুকে ভার বা চাপ অনুভূত হওয়া।

৮.অতিরিক্ত ঘাম হওয়া।

৯.বমি বমি ভাব বা বমি হাওয়া।

১০.অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।

১১.শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেওয়া।

১২.চোখে ঝাপসা দেখা।


উপরোক্ত লক্ষণ গুলি দেখা দিলে বুঝতে হবে হার্টে সমস্যা হয়েছে। যার কারণে পরবর্তীতে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তাই উপরোক্ত লক্ষণ গুলির যেকোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত এই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।



হার্টের জন্য উপকারী খাবার



হার্ট ভালো রাখার জন্য জীবনে খাবারের তালিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় এমন কিছু খাবার রাখা উচিত যে খাবারগুলো হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। নিচে কিছু খাবারের নাম দেওয়া হলো যে খাবার গুলো হার্ট ভালো রাখার জন্য উপকারী।





১.রসুনঃ হার্ট সুস্থ রাখার জন্য রসুন খুবই উপকারী।প্রতিদিন সকালে এক কোয়া রসুন খালি পেটে খেলে বা রসুন পানিতে ফুটিয়ে পানি পান করলে হার্ট ভালো থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।




২.বাদামঃ প্রতিদিনের খাবার তালিকায় বাদাম রাখা যেতে পারে। কারণ বাদাম হার্টের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত বাদাম খেলে হার্ট সুস্থ থাকে।




৩.কমলাঃ হার্টে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমানোর জন্য কমলার রস খুবই উপকারী। কারণ কমলা রস অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে হার্ট সুস্থ থাকে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।




৪.গ্রিন টিঃ গ্রিন টি হার্টের সমস্যা বা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। গ্রিন টি শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও গ্রিন টি শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যার কারণে হার্ট ভালো থাকে।




৫.ওটসঃ ওটস হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কারণ প্রতিদিন সকালে ওটস থেলে অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। যার ফলে হার্টে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে।




৬.সামুদ্রিক মাছঃ হার্ট ভালো রাখার জন্য ওমেগা থ্রি খুব কার্যকরী। আর সামুদ্রিক মাছের প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি থাকে। যা হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় সামুদ্রিক মাছ রাখা যেতে পারে।



৭.টক দইঃ টক দই শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কারণ টক দইয়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ব্যাকটেরিয়া যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হার্ট সুস্থ রাখে। 



৮.বেরি জাতীয় ফলঃ বেরি জাতীয় ফল যেমন- ব্লুবেরী, স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি ইত্যাদি ফল হার্টকে সুরক্ষা দেয় এবং হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কারণ এই ফলের মধ্যে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা মানুষের চাপ বা টেনশন কমাতে সাহায্য করে এবং হার্টে প্রদাহ স্বাভাবিক রাখে। যার ফলে হৃদরোগের বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।



৯.ডার্ক চকলেটঃ ডার্ক চকলেট হৃদরোগের বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কারণ ডাক চকলেট মস্তিষ্কে থাকা নার্ভ গুলোকে সতেজ রাখে ।



হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার



হার্ট ভালো রাখার জন্য যেমন প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কিছু সুষম খাবার রাখতে হবে। সেরকম হার্টের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কিছু খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। নিচে কিছু খাবারের নাম দেয়া হলো যে খাবারগুলো হার্টের জন্য খুবই ক্ষতিকর। 


১.অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

২.অতিরিক্ত ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে ।

৩.কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় এমন খাবার যেমন - কলিজা, মগজ, হাড়ের মজ্জা, চিংড়ি, মাছের মাথা বা ডিম, ডিমের কুসুম ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

৪.অতিরিক্ত নারকেল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

৫.অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন- মিষ্টি, কেক, পুডিং, আইসক্রিম ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

৬.অতিরিক্ত রেড মিট বা মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

৭.অতিরিক্ত ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৮.অতিরিক্ত মদ্যপান করা বা অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকতে হবে।



হার্ট অ্যাটাক থেকে বাচার উপায়



হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার জন্য দৈনন্দিন জীবনে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললেই হার্ট অ্যাটাক থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।


১.প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কিছু সুষম খাবার রাখতে হবে যে খাবারগুলো হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।

২.অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। তাই কোলেস্টেরল বাড়ে এমন সব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

৩.নিয়মিত শারীরিক চর্চা বা ব্যায়াম করতে হবে।

৪.পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে বা বিশ্রাম নিতে হবে।

৫.অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা টেনশন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৬.অনেক সময় অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের কারণে হার্টে চাপ পড়ে যার ফলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ে এমন সব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।



সর্বোপরি বুকের বাম পাশে ব্যথা অনুভূত হলে অনেক সময় হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। যা পরবর্তীতে মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই আমাদের হাটকে সুস্থ রাখার জন্য দৈনন্দিন জীবনে নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post