ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন খরচ বাংলাদেশ

ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন খরচ বাংলাদেশ


বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ নারীদের ব্রেস্টে টিউমার দেখা দিচ্ছে। অবিবাহিত থেকে বিবাহিত প্রায় সকলেরই নারীর এই সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমাদের আজকের এই পোষ্টের আলোচ্য বিষয় হল ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার কারণ, ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায়, ব্রেস্ট টিউমার মানেই কি ক্যান্সার, ব্রেস্ট টিউমার হলে কি মানুষ মারা যায়, ব্রেস্ট টিউমার হলে কি ব্যথা হয়, ব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয়, ব্রেস্ট ক্যান্সার কি ভাল হয় এবং ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন খরচ বাংলাদেশ। 


ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন খরচ বাংলাদেশ


আমরা আজ এই পোস্টে আলোচনা করব ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন খরচ বাংলাদেশ


ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার কারণ


অধিকাংশ নারীর ব্রেস্ট টিউমারের অন্যতম কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। এর কারণেই মূলত মেয়েদের টিউমারের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার কিছু কারণ নিচে উল্লেখ্য করা হলোঃ


১.অনিয়মিত জীবনযাপনঃ ব্রেস্ট টিউমারের অন্যতম কারণ হলো অনিয়মিত জীবন যাপন। যেমন- প্রতিদিনের খাবার তালিকায় সবুজ শাকসবজি না রেখে অতিরিক্ত ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খাওয়া। 


২.পরিশ্রম না করাঃ অনেক সময় প্রয়োজনের তুলনায় পরিশ্রম কম করলে বা অলস জীবন যাপন করলে ব্রেস্ট টিউমারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।


৩.বংশানুক্রমেঃব্রেস্ট টিউমারের আরো একটি অন্যতম কারণ হলো বংশানুক্রম। এই টিউমারটি বংশানুক্রমে বেশি হয়ে থাকে। যেমন বংশে অন্য কারোর এ টিউমারের সমস্যা থাকলে পরবর্তীতে অন্যদের এই টিউমার হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।


৪.অতিরিক্ত ওজনঃশরীরে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে ব্রেস্টে টিউমারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।


৫.বুকের দুধঃ অনেক সময় মহিলাদের ডেলিভারির পরে বুকে অতিরিক্ত দুধ আসে এবং এই দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে শিশু না খেলে পরবর্তীতে এই দুধ জমাট বেঁধে টিউমারের সৃষ্টি হয়।


৬.হরমোনাল ইমব্যালেন্সঃ শরীরে হরমোনের পরিবর্তন দেখা দিলে বা হরমোনাল ইমব্যালেন্সের সমস্যা দেখা দিলে ব্রেস্টে টিউমার দেখা দিতে পারে।


৭.ধুমপানঃ অনেক সময় অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে নারীদের ব্রেস্টে টিউমার দেখা দিতে পারে।


৮.ওষুধের অপপ্রয়োগঃ অনেক সময় অতিরিক্ত ওষুধের রিঅ্যাকশনের ফলে বেস্ট টিউমার দেখা দিতে পারে। তাই যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত।


৯.ব্রেস্টে টিউমার হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো অস্বাভাবিকভাবে কোষ বিভাজন। শরীরে অস্বাভাবিকভাবে কোষ বিভাজন ঘটলে কিছু কোষ বেড়ে যায় যার মাধ্যমে টিউমারের সমস্যা দেখা দেয়।


বেস্ট টিউমার এড়াতে উপরোক্ত কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলে সহজেই ব্রেস্ট টিউমার প্রতিরোধ করা সম্ভব।


ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায়


ব্রেস্টে টিউমার দেখা দিলে শরীরে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়।  যার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি যে টিউমার হয়েছে। নিচে লক্ষণগুলো দেওয়া হলোঃ


ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায়



১.ব্রেস্ট টিউমার চেনার অন্যতম উপায় হলো ব্রেস্টে শক্ত পিন্ড অনুভব হওয়া।

২.ব্রেস্টে ফোলা ভাব অনুভূত হওয়া।

৩.ব্রেস্টে ব্যথা অনুভূত হওয়া।

৪.ব্রেস্টে চুলকানি হওয়া।

৫.ব্রেস্টের বোটা অস্বাভাবিক অনুভূত হওয়া বা ব্রেস্টের বোটা ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া।

৬.ব্রেস্টের চামড়ার রং পরিবর্তন হওয়া।


উপরোক্ত লক্ষণ গুলি দেখা দিলে বুঝতে হবে ব্রেস্টে টিউমার হয়েছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।



ব্রেস্ট টিউমার মানেই কি ক্যান্সার


বর্তমানে ব্রেস্টে টিউমার দেখা দিলেই মানুষ মনে করে ব্রেস্টে ক্যান্সার হয়েছে। তবে ব্রেস্টে  টিউমার মানে ক্যান্সার নয়। এটা স্বাভাবিক টিউমারও হতে পারে। যা অপারেশন করলে ঠিক হয়ে যায়। তবে যদি ব্রেস্টে টিউমার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায় পা দ্রুত অন্য ব্রেস্টের ছড়িয়ে যায়। তাহলে সেটি ক্যান্সার টিউমার হিসেবে মনে করা হয়।



ব্রেস্ট টিউমার হলে কি মানুষ মারা যায়


অনেকের মনে ব্রেস্ট টিউমার হলে কি মানুষ মারা যায় এই প্রশ্নটা ঘুরপাক খায়। তবে ব্রেস্ট এ সাধারণ টিউমার হলে সেটি অপারেশন করলেই ঠিক হয়ে যায়। আর যদি ব্রেস্ট টিউমার ক্যান্সারে পরিণত হয়। তবে চিকিৎসা করলে অনেক বছর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও যদি ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে তাহলে অনেক সময় চিকিৎসা করানোর মাধ্যমে সারিয়া তোলা সম্ভব। তবে এটি লাস্ট পর্যায়ে ধরা পড়লে চিকিৎসা করার পরও চার থেকে পাঁচ বছর বেঁচে থাকতে পারে।



ব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয়


ব্রেস্ট টিউমার দেখা দিলে এটা দূর করার একমাত্র উপায় হল চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা। অনেক সময় চিকিৎসক টিউমারের অবস্থা নির্ণয় করে অপারেশন বা ওষুধ দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।ব্রেস্টে স্বাভাবিক টিউমার হলে সেটা অপারেশন করলেই ঠিক হয়ে যায় ।অনেক সময় ব্রেস্টে টিউমার দেখা দিলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নেওয়া যেতে পারে। এতে টিউমারের সমস্যা দূর হতে পারে।



ব্রেস্ট টিউমার প্রতিরোধের উপায়



জীবনযাত্রার মান কিছুটা পরিবর্তন করলেই বা নিয়মকানুন মেনে চললেই ব্রেস্ট টিউমার প্রতিরোধ করা সম্ভব। 


১.প্রতিদিনের খাবার তালিকায় শাকসবজি বা তাজা ফলমূল রাখতে হবে।

২.ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

৩.অতিরিক্ত ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

৪.ধূমপান বা অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

৫.প্রতিদিন ব্যায়াম ও শারীরিক চর্চা করতে হবে।

৬.বংশের কারোর ব্রেস্ট টিউমারের সমস্যা থাকলে প্রতি তিন মাস অন্তর পরীক্ষা করতে হবে।



ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ



ব্রেস্টে টিউমার ক্যান্সার দেখা দিলে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। নিচে লক্ষণ গুলো দেওয়া হলঃ 


১.ব্রেস্ট টিউমার চেনার অন্যতম উপায় হলো ব্রেস্টে শক্ত পিন্ড অনুভব হওয়া।

২.ব্রেস্টে ফোলা ভাব অনুভূত হওয়া।

৩.ব্রেস্টে ব্যথা অনুভূত হওয়া।

৪.ব্রেস্টে চুলকানি হওয়া।

৫.ব্রেস্টের বোটা অস্বাভাবিক অনুভূত হওয়া বা ব্রেস্টের বোটা ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া।

৬.ব্রেস্টের চামড়ার রং পরিবর্তন হওয়া।

৭.দ্রুত এক ব্রেস্ট থেকে অন্য ব্রেস্টে ছড়ানো।

৮.ব্রেস্টের বোটা থেকে অস্বাভাবিক ভাবে রস বের হওয়া।



ব্রেস্ট ক্যান্সার কি ভাল হয়



অনেকেই মনে করেন  ব্রেস্ট ক্যান্সার হলে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা নাই। তবে যদি ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে। তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো হয়ে যেতে পারে।



ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন খরচ বাংলাদেশ



ব্রেস্টে টিউমার অপারেশন একটি ব্যয়বহুল অপারেশন। এই অপারেশন বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় একজন ব্রেস্ট সার্জন বা সার্জারি বিশেষজ্ঞ কোন ডাক্তার দিয়ে অপারেশন করালে ৫০০০০ টাকা থেকে ১৫০০০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে।




সর্বোপরি বেস্ট টিউমার বর্তমানে প্রায় ১৯ শতাংশ নারীর মধ্যে দেখা দেয়। তাই ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে এবং প্রতি তিন মাস অন্তর চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে রুটিন চেকআপ করতে হবে।

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post