শিশুদের ভিটামিন ডি এর অভাবের লক্ষণ

 শিশুদের ভিটামিন ডি এর অভাবের লক্ষণ


বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষ বিভিন্ন কারণে শারীরিক দুর্বলতায় ভুগে থাকেন। এর মধ্যে একটি অন্যতম কারণ হলো ভিটামিন ডি এর অভাব। ছোট থেকে বড় প্রায় সবারই ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয়। তাই আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন ভিটামিন ডি কমে যাওয়ার কারণ, ভিটামিন ডি এর অভাবের লক্ষণ, শিশুদের ভিটামিন ডি এর অভাবের লক্ষণ, ভিটামিন ডি এর অভাব হলে করণীয়, ভিটামিন ডি এর অভাবে কোন রোগ হয়, ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার, ভিটামিন ডি এর উৎস এবং ভিটামিন ডি টেস্ট খরচ কত বাংলাদেশে সম্পর্কে।


শিশুদের ভিটামিন ডি এর অভাবের লক্ষণ


আমরা আজ এই পোস্টে আলোচনা করব শিশুদের ভিটামিন ডি এর অভাবের লক্ষণ


ভিটামিন ডি কমে যাওয়ার কারণ


শরীরে ভিটামিনের অভাব হলে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণ সূর্যের আলো শরীরে না পড়লে ভিটামিনের অভাব দেখা দিতে পারে। এছাড়াও আমিষ জাতীয় খাবারের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। তাই খাবার তালিকা থেকে আমিষ খাবার কমিয়ে দিলে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিতে পারে।


ভিটামিন ডি এর অভাবের লক্ষণ


ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়। নিচের লক্ষণগুলো দেওয়া হলো।


১.শরীরের হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়া।


২.শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া।


৩.শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে  যাওয়া।


৪.হঠাৎ করে ওজন বৃদ্ধি পাওয়া।


৫.উদ্বেগ বা মানসিক অবসাদ এর সমস্যা দেখা দেওয়া।


৬.শরীরের যেকোনো স্থানের ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া।


৭.অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভূত হওয়া।


৮.শরীরের মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভূত হওয়া।


উপরোক্ত লক্ষণ দেখা দিলে বুঝতে হবে শরীরে ভিটামিনের অভাব দেখা দিয়েছে। তাই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।


শিশুদের ভিটামিন ডি এর অভাবের লক্ষণ


শিশুদের ভিটামিন ডি এর অভাবের লক্ষণ


ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিলে শিশুদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়। নিচে লক্ষণগুলো দেওয়া হলোঃ


১.শিশুদের শরীরে ক্লান্তি বা দুর্বলতা বোধ দুর্বলতা বোধ হওয়া।


২.শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া।


৩.শারীরিক বৃদ্ধি কমে যাওয়া।


৪.শিশুদের ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া।


৫.শিশুদের ঘুম কমে যাওয়া।


৬.শিশুদের হাড়ে ব্যথা অনুভূত হওয়া।


ভিটামিন ডি এর অভাবে কোন রোগ হয়


  • ভিটামিন ডি এর অভাব অভাবে শিশুদের রিকেট এবং প্রাপ্তবয়স্কদের অস্টিওম্যালাসিয়া বা অস্টিওপোরোসিসের এর মত রোগ দেখা দিতে পারে।

  • ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুদের হাড় বাঁকা বা ভেঙে যাওয়ার যেতে পারে।
  • ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিলে চুল পড়ে যেতে পারে।
  • ভিটামিন ডি এর অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। যার ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে।
  • ভিটামিন ডি এর অভাবে শরীরের মাংসপেশিতে ব্যথা হতে পারে।


ভিটামিন ডি এর অভাব হলে করণীয়


  • ভিটামিন ডি এর অভাব হলে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
  • প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ মিনিট সূর্যের আলো শরীরে লাগাতে হবে।
  • ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।


ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার


ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার


  • ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। যা শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। 
  • দুধ দিয়ে তৈরি যে কোন খাবারে ভিটামিন ডি এর উপস্থিতি পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন দুধে তৈরি যে কোন খাবার খেলে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়।
  • পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে। তাই যা শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।
  • মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে। যা শরীরে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে।
  • কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ পিস কিসমিস খেলে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ হয়।
  • টুনা ফিস, সালমান ফিস এবং তেলাপিয়া মাঠে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে। যা শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে।
  • ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে প্রতিদিন সকালে খাবার তালিকায় ওটস রাখা যেতে পারে।এছাড়াও ওটস ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।
  • এছাড়াও ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে খাবার তালিকায় সয়াবিন, সূর্যমুখী ফুলের বীজ রাখা যেতে পারে। এতে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ হয়।


ভিটামিন ডি এর উৎস


সূর্যের আলো ভিটামিন ডি এর প্রধান উৎস। এছাড়াও মাশরুম, ডিম, দুধ, ওটস, সয়াবিন, কিসমিস, ভিটামিন ডি এর উৎস হিসেবে কাজ করে।



ভিটামিন ডি টেস্ট খরচ কত বাংলাদেশে 


ভিটামিন ডি টেস্ট করতে যেকোনো বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা হাসপাতালে ৩০০০ - ৪৫০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে।



সর্বোপরি ভিটামিন ডি শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমাদের শরীরে যাতে ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। তার জন্য প্রথম পর্যায়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ সূর্যের আলো শরীরে লাগাতে হবে এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post