ভিটামিন ডি টেস্ট খরচ কত বাংলাদেশ
বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাবের কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। কিন্তু অনেকেই এই ভিটামিন ডি অভাব কেন হয় বা ভিটামিন ডি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানেনা। তাই আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন ভিটামিন ডি টেস্ট কেন করা হয়, ভিটামিন ডি এর অভাব কিভাবে বোঝা যায়, ভিটামিন ডি এর অভাবে কি হয়, ভিটামিন ডি কখন খেতে হয়, ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা, ভিটামিন ডি নরমাল রেঞ্জ এবং ভিটামিন ডি টেস্ট খরচ কত বাংলাদেশ সম্পর্কে।
আমরা আজ এই পোস্টে আলোচনা করব ভিটামিন ডি টেস্ট খরচ কত বাংলাদেশ
ভিটামিন ডি টেস্ট কেন করা হয়
বিভিন্ন কারণে ভিটামিন ডি টেস্ট করা হয়।
১.হঠাৎ শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিলে চিকিৎসক ভিটামিন ডি টেস্ট করার পরামর্শ দেন।
২.হাড়ের ক্ষয় বা মাংসপেশীতে দুর্বলতা অনুভূত হলে চিকিৎসক ভিটামিন ডি টেস্ট করার পরামর্শ দেন।
৩.হঠাৎ ওজন কমে গেলে বা বেড়ে গেলে চিকিৎসক ভিটামিন ডি টেস্ট করার পরামর্শ দেন।
৪.অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসক ভিটামিন ডি টেস্ট করার পরামর্শ দেন।
৫.অনেক সময় রুটিন চেকআপের জন্য চিকিৎসক ভিটামিন ডি টেস্ট করার পরামর্শ দেন।
ভিটামিন ডি এর অভাব কিভাবে বোঝা যায়
১.মাংসপেশীতে দুর্বল অনুভূত হওয়া।
২.অতিরিক্ত চুল পড়ে যাওয়া।
৩.শারীরিক দুর্বলতা অনুভূত হওয়া।
৪.বাচ্চাদের ক্ষেত্রে শরীরের হাড় নরম হওয়া।
৫.অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ হওয়া।
৬.উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বেড়ে যাওয়া।
ভিটামিন ডি এর অভাবে কি হয়
ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুদের রিকেট এবং প্রাপ্তবয়স্কদের অস্টিওম্যালাসিয়া এবং অস্টিওপোরোসিস এর মতো রোগ দেখা দিতে পারে।এই রোগের কারণে শরীরের হাড় দুর্বল বা নরম থাকে। যার ফলে সহজেই হাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ভিটামিন ডি কখন খেতে হয়
চিকিৎসক বেশিরভাগ সময়ে ভিটামিন ডি সকালে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ এটি সকালে খেলে শরীরে ভিটামিন ডি এর কার্যকারিতা বেশি হয়।
ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা
১.ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। তাই প্রতিদিন খাবার তালিকায় ডিম রাখলে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।
২.মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। মাশরুম কে ভিটামিন ডি এর উৎস বলা হয়। তাই মাশরুম খেলে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করা সম্ভব।
৩.প্রায় সব ধরনের মাছের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় । তাই প্রতিদিন খাবারের তালিকায় মাছ রাখতে হবে।
৪.সয়াবিনের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। তাই সয়াবিন খেলে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করা সম্ভব।
৫.দুধের তৈরি যে কোন খাবার যেমন- দই ,ঘোল ,মাখন, ঘি ইত্যাদি শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে।
৬.এছাড়াও সূর্যের আলো ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে সবথেকে কার্যকারী উপায়। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে এক থেকে দুই ঘন্টা সূর্যের আলোয় দাঁড়ানো উচিত।
ভিটামিন ডি নরমাল রেঞ্জ
ভিটামিন ডি প্রাপ্ত বয়স্ক এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে একই। তাই নিচে ভিটামিন ডি এর নরমাল রেঞ্জ দেওয়া হলোঃ
- ঘাটতি (Deficient) : < 20.00 ng/ml
- অপর্যাপ্ত (Insufficient) : 20.00 – 29.00 ng/ml
- যথেষ্ট (Sufficient) : 30.00 – 100.00 ng/ml
- সম্ভাব্য বিষাক্ততা (Potential Toxicity) : > 100.00 ng/ml
ভিটামিন ডি টেস্ট খরচ কত বাংলাদেশ
ভিটামিন ডি টেস্ট করতে যেকোনো বেসরকারি হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৩০০০ -৪০০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে।
সর্বোপরি ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ভিটামিন ডি এর অভাবে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমাদের ভিটামিন ডি শরীরে যেন ভিটামিন ডি এর ঘাটতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।