নবজাতকের পেটে গ্যাস হলে বোঝার উপায়
বর্তমান বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষেরই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে। অনেক সময় এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নবজাতকের মধ্য দেখা যায়। কিন্তু আমরা অনেক সময় সেটা বুঝতে পারিনা। তাই আমাদের আজকের এই পোষ্টের আলোচ্য বিষয় হলো নবজাতকের পেটে গ্যাস হলে বোঝার উপায়, বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে করণীয় কি, বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কি খাওয়া উচিত, পেটে গ্যাসের কারণ, পেটে গ্যাসের লক্ষণ এবং দ্রুত পেটে গ্যাস কমানোর উপায় সম্পর্কে।
আমরা আজকে এই পোস্টে আলোচনা করব নবজাতকের পেটে গ্যাস হলে বোঝার উপায়
নবজাতকের পেটে গ্যাস হলে বোঝার উপায়
নবজাতকের পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিলে কিছু লক্ষণ দেখলে বোঝা যায়।এই লক্ষণ গুলো যদি আমাদের জানা থাকে তাহলে আমরা সহজেই বুঝতে পারবো যে নবজাতকের পেটে গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে।
১.নবজাতকের পেট শক্ত হয়ে যাওয়া।
২.নবজাতক কান্নাকাটি করা।
৩.নবজাতকের পেট ফাঁপা বা ফোলা ফুলে যাওয়া।
৪.নবজাতকের বমি হওয়া।
৫.নবজাতকের পেটে ব্যথা হওয়া।
৬.অস্থিরতা বোধ হওয়া।
৭.অতিরিক্ত বায়ুত্যাগ বা ঢেকুর তোলা।
৮.ক্ষুধা কমে যাওয়া।
উপরোক্ত লক্ষণগুলো দেখলে বুঝতে হবে নবজাতকের পেটে গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে করণীয় কি
বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে বাচ্চাকে উপর করে শুয়ে পেটে বা পিঠে আলতো করে চাপ দিলে গ্যাসের সমস্যা কমতে পারে। এছাড়াও শুয়ে বুকের দুধ না খাওয়ানো উত্তম। কারণ শুয়ে বাচ্চা বুকের দুধ পান করলে দুধের সাথে বাতাস পেটে প্রবেশ করে যার ফলে গ্যাসের সৃষ্টি হয়।বুকের দুধ খাওয়ানোর পর পর উপুর করে শুয়ে পিঠে আলতো করে চাপ দেওয়া উত্তম। এতে বাচ্চাদের পেটে গ্যাসের সমস্যা কম হয়।
বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কি খাওয়া উচিত
বাচ্চাদের পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিলে বাচ্চাদের হালকা খাবার খাওয়ানো উচিত। এতে করে পেটে গ্যাসের সমস্যা কম হয়।
১.বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে ভাত খাওয়ালে গ্যাসের সমস্যা কম হতে পারে।
২.স্যুপ
৩.ডাবের পানি বা ফলের জুস
৪.আদা চা বা পুদিনা পাতার চা
৫.তরল জাতীয় খাবার
৬.কলা, তরমুজ, পেঁপে
৭.জিরা পানি
৮.স্যালাইন
পেটে গ্যাসের কারণ
বিভিন্ন কারণে পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিচে কারণগুলো দেওয়া হলঃ
১.অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকলে পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২.অতিরিক্ত আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমেও পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩.অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার মাধ্যমে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪.ক্ষুদ্রান্তে কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে এই ব্যাকটেরিয়া খুবই কম যখন এই ব্যক্তি মারা যায়। তখনই পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়।
৫.খাবার খাওয়ার পরে হাটাচলা না করলে খাবার সঠিকভাবে পরিপাক হয় না। তখনই পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়।
৬.অনেক সময় অতিরিক্ত ঘন ডাল খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৭.খালি পেটে ফল খেলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পেটে গ্যাসের লক্ষণ
১.পেট ফুলে যাওয়া বা ফাঁপা হয়ে থাকা
২.ক্ষুধা কমে যাওয়া
৩.পেটে বা বুকে জ্বালাপোড়া করা
৪.অতিরিক্ত ঢেকুর তোলা
৫.মুখের ভিতর টক ভাব লাগা
৬.বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
৭.মাথা ঘোরা
৮.পেটে, পিঠে ও বুকে ব্যথা করা
৯.পেট ভরা ভরা লাগা
১০.অতিরিক্ত হেঁচকি হওয়া
১২.অতিরিক্ত বায়ু ত্যাগ
দ্রুত পেটে গ্যাস কমানোর উপায়
গ্যাসের সমস্যা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে দ্রুত গ্যাসের সমস্যা কমানোর জন্য নিচে কিছু উপায় দেওয়া হলোঃ
১.পর্যাপ্ত পরিমাণে ঠান্ডা পানি পান করা
২.জিরা পানি পান করা
৩.আদা খাওয়া
৪.টক দই খাওয়া
৫.তুলসী পাতার চা পান করা।
৬.হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করা
৭.ডাবের পানি বা ফলের জুস খাওয়া
৮.কলা খাওয়া
৯.গরম পানিতে গোসল করা
সর্বোপরি গ্যাসের সমস্যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে ভোগান্তিতে ফেলে। কারণ এই গ্যাসের সমস্যা দেখা দিলে পরবর্তীতে পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে।তাই আমাদের পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয় এমন সব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।