দ্বীনদার জীবনসঙ্গী নিয়ে ইসলামিক উক্তি

 

দ্বীনদার জীবনসঙ্গী নিয়ে ইসলামিক উক্তি


জীবনে চলার পথে একজন ভালো জীবনসঙ্গীনের খুব প্রয়োজন। একজন ভালো জীবনসঙ্গিনী পারে সামনে চলার পথটা সহজ করে তুলতে। আর জীবনসঙ্গী হয় যদি ইসলামিক তরিকায় তাহলে সামনের জীবন আরো সহজ সরল হয়ে যায়। আমরা যদি জানতে পারি দ্বীনদার জীবনসঙ্গী ইসলামিক নিয়ে  উক্তি বা ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক উত্তম জীবনসঙ্গী নির্ণয় করা।


দ্বীনদার জীবনসঙ্গী নিয়ে ইসলামিক উক্তি

আমরা আজ এই পোস্টে আলোচনা করব দ্বীনদার জীবনসঙ্গী নিয়ে ইসলামিক উক্তি



দ্বীনদার জীবনসঙ্গী নিয়ে ইসলামিক উক্তি



আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সাঃ) ও স্ত্রীদের সাথে ভালো ব্যবহার করতেন। তিনি হযরত আয়েশা (রাঃ) কে এতই ভালোবাসতেন যে তিনি যে ক্লাসে পানি পান করতেন ঠিক ওই একই ক্লাসে তিনিও পানি পান করতেন। এছাড়াও তিনি হযরত আয়েশা (রাঃ) কে নিয়ে মরুভূমির রাস্তায় দৌড়ানোর প্রতিযোগিতা করতেন।


১.আল হাদিস শরীফে বলা হয়েছে, যে স্ত্রী স্বামী জীবিত অবস্থায় স্বামীকে সন্তুষ্ট রেখে মৃত্যুবরণ করে সে জান্নাতি হবে।


২.হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন,সেই পুরুষ অধিক সুখে আছে যে পুরুষ একজন দ্বীনদার স্ত্রী পেয়েছেন।


৩. সহীহ মুসলিম হাদিসে বলা হয়েছে,  তোমরা একে অন্যের প্রতি হিংসা করো না, ঘৃণা, বিদ্বেষ করো না এবং একে অপরের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না।


৪.সহিহ বুখারী হাদীসে এসেছে, যে পবিত্র থাকতে চায়, আল্লাহ তাকে পবিত্র রাখেন।



ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক জীবন সঙ্গী কেমন হওয়া উচিত


একজন দ্বীনদার বা নেককার স্ত্রী পাওয়া একজন পুরুষের ভাগ্যের ব্যাপার। 


১.জীবনসঙ্গিনী কে অবশ্যই উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে হবে।


২.জীবনসঙ্গিনী কে নামাজী হতে হবে।


৩.জীবনসঙ্গিনীকে পর্দা বজায় রেখে চলতে হবে।


৪.পরিবার-পরিজন নিয়ে একসাথে মিলেমিশে থাকতে পারবে এরকম জীবনসঙ্গিনী বেছে নিতে হবে।


৫.নিঃস্বার্থভাবে স্বামীর সেবা যত্ন করবে।


৬.জীবনসঙ্গিনী কে অবশ্যই পবিত্রতা বজায় রাখতে হবে।


৭.এমন জীবন সঙ্গিনী হতে হবে যে তার লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে রাখে।


৮.জীবন সঙ্গিনী কে অবশ্যই সত্যবাদী হতে হবে।


৯.জীবনসঙ্গিনী কে অবশ্যই বন্ধুত্বপূর্ণ হতে হবে।


স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভালো রাখার উপায়


১.পরস্পরকে সময় দেওয়া।


২.পরস্পরের প্রতি সম্মান বজায় রাখা।


৩.একসাথে ঘুরতে যাওয়া।


৪.পরস্পর বন্ধু হয়ে থাকা।


৫.দুজন দুজনের প্রতি সন্তুষ্ট থাকা।


৬.পরস্পরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।



দাম্পত্য সম্পর্ক মধুর করার সুন্নত


১.স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা।


২.একই পাত্রে খাবার খাওয়া বা একে অপরকে খাবার খাইয়ে দেওয়া।


৩.ঘরের কাজে সাহায্য সহযোগিতা করা।


৪.সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা।


৫.স্ত্রীর কোলে মাথা রাখা।


৬.দুজন দুজনের প্রতি যত্নশীল হওয়া।


৭.দুজন দুজনের পছন্দ বিবেচনা করা।


৮.দুজন দুজনকে সুন্দর নামে ডাকা।



সর্বোপরি একজন দ্বীনদার জীবনসঙ্গিনী পারে একজন পুরুষকে জীবনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে।পুরুষের জীবনের সফলতা আনতে অবশ্যই একজন দ্বীন দরবার নেককার স্ত্রীর প্রয়োজন।আর জীবনসঙ্গিনী যদি খারাপ হয় তাহলে সেই পুরুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যায়।তাই আমরা আজ জানতে পারলাম দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী নিয়ে ইসলামিক উক্তি বা জীবনসঙ্গিনী কেমন হওয়া উচিত।

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post