কোন রোগের কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার খুলনা

কোন রোগের কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার খুলনা  


আমাদের শরীরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। কিন্তু কোন রোগের জন্য কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হবে তা সঠিকভাবে না জানার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যাই পড়তে হয়।  তাই আমাদের আজকের এই প্রশ্নের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন কোন রোগের কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার খুলনা সম্পর্কে।





আমরা আজ এই পোস্টে আলোচনা করব কোন রোগের কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার খুলনা



কোন রোগের কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার খুলনা





১.মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারঃ সাধারণত রুটিন চেকআপ এর জন্য মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হয়। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ এর সমস্যা বা শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিলে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ দেখানো উচিত।




২. কার্ডিওলজি বা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারঃ হার্টের সমস্যা, হার্ট বড় হয়ে যাওয়া, হার্ট দুর্বল, হার্ট অ্যাটাক, বুকে চাপ অনুভূত হওয়া, স্ট্রোক এর সমস্যা হওয়া ইত্যাদি রোগের লক্ষণ দেখা দিলে কার্ডিওলজি বা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উচিত।




৩.প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারঃ মহিলাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন- অনিয়মিত মাসিক, পেটে ব্যথা, অতিরিক্ত সাদাস্রাব যাওয়া, বন্ধ্যাত্বের সমস্যা, জরায়ুতে সমস্যা, ওভারিতে সমস্যা, প্রসাবে ইনফেকশন ইত্যাদি রোগের লক্ষণ দেখা দিলে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উচিত।




৪. কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারঃ কিডনি জনিত রোগ যেমন- কিডনিতে পাথর, কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া, ক্রিয়েটিনিন এর পরিমাণ বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি রোগের লক্ষণ দেখা দিলে কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উচিত।




৫.ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারঃ প্রসাবে সমস্যা জনিত রোগ যেমন- প্রসাবে ইনফেকশন, প্রসাব কম হওয়া, প্রসাবে জ্বালাপোড়া করা, প্রসাবের নালিতে ইনফেকশন, প্রোস্টেট ইনফেকশন, প্রোস্টেট বড় হয়ে যাওয়া ইত্যাদি রোগের লক্ষণ দেখা দিলে ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ ও ডাক্তার দেখানো উচিত। 




৬.গ্যাস্ট্রোলজি বা গ্যাস্ট্রোলিভার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারঃ গ্যাস্ট্রিক বা লিভার জনিত রোগ যেমন - গ্যাস্ট্রিক আলসার, লিভার সিরোসিস, লিভারে পানি জমা, লিভার ইনফেকশন হওয়া, পাকস্থলীতে ইনফেকশন হওয়া, জন্ডিসের সমস্যা দেখা দেওয়া, হেপাটাইটিস ভাইরাসের সংক্রমণ হওয়া ইত্যাদি রোগের লক্ষণ দেখা দিলে গ্যাস্ট্রোলজি বা গ্যাস্ট্রোলিভার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উচিত।




৭.ব্রেইন ও স্নায়ু বা নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারঃ বিভিন্ন ধরনের স্নায়ু রোগ যেমন - স্ট্রোক, স্নায়ু দুর্বল হয়ে যাওয়া, শরীরের যেকোনো এক পাশ অবাস বা প্যারালাইসিস এর সমস্যা দেখা দেওয়া, মুখের এক পাশ বেঁকে যাওয়া, মাথাব্যথা,মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেওয়া, হাত পা ঝিনঝিন করা, শরীরের শিরা শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি রোগের লক্ষণ দেখা দিলে নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উচিত।




৮.অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারঃ হাড়ের বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন- হাড় ভেঙে যাওয়া, হাড় মসকে যাওয়া, কোমরে ব্যথা, মেরুদন্ডে ব্যথা, পায়ে ব্যথা, হাটুতে ব্যথা , হাতে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিলে অর্থপেডিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উচিত।




৯.বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারঃ ফুসফুস জনিত রোগ যেমন- অ্যাজমা, কাশি,  বুকে ব্যথা, ফুসফুসে পানি জমা, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, ফুসফুসে ইনফেকশন ইত্যাদি রোগের লক্ষণ দেখা দিলে বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ দেখানো উচিত।




১০.চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারঃ ত্বক ও যৌন সম্পর্কিত সব ধরনের রোগের জন্য চর্ম ও যৌন রোগ দেখানো উচিত, যেমন-ত্বকে এলার্জি, চুলকানি, একজিমা,ব্রণ,যৌনাঙ্গে এলার্জি, চুলকানি বা যৌন রোগ সম্পর্কিত যেকোনো সমস্যার জন্য চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উত্তম।




১১.এন্ডোক্রিনোলজিস্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তারঃ ডায়াবেটিস বা হরমোন জনিত রোগ, যেমন- অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, অনিয়ন্ত্রিত হরমোন বা থাইরয়েড রোগের লক্ষণ দেখা দিলে এন্ডোক্রিনলজিস্ট ডাক্তার দেখানো উচিত।




১২.হেমাটোলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারঃ রক্ত সম্পর্কিত রোগ যেমন - রক্তে ইনফেকশন , অস্থিমজ্জায় ইনফেকশন ইত্যাদি রোগের লক্ষণ দেখা দিলে হেমাটোলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উচিত।




১৩.সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারঃ যেকোনো অপারেশনের যেমন- সিজার, গলব্লাডার, অ্যাপেন্ডিক্স, টিউমার, ফিস্টুলা ও পাইলস, কিডনিতে পাথর, জরায়ু অপারেশন ইত্যাদি রোগের জন্য সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উচিত।




১৪.অনকোলজি বা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারঃ ক্যান্সার জাতীয় রোগ যেমন -ব্রেস্ট ক্যান্সার, জরায়ু ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার বা শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়লে অনকোলজি বা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উচিত।




১৫.নবজাতক ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারঃ নবজাতক ও শিশুদের যেকোনো রোগের জন্য নবজাতক শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উচিত।




১৬.চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারঃ চোখের যে কোন রোগ যেমন- চোখে কম দেখা, চোখে ছানি পড়া, চোখে অপারেশন ইত্যাদি রোগের জন্য চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উচিত।




১৭.মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারঃ মানসিক যেকোনো সমস্যার জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উচিত।




১৮.খাদ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারঃ শরীরে পুষ্টি বিষয়ক যেকোন সমস্যার জন্য খাদ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উচিত।



সর্বোপরি আমরা যদি সঠিকভাবে জানতে পারি যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাবো। তাহলে আমরা সহজেই সে ডাক্তার দেখাতে পারি এবং সঠিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করতে পারি।

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post